কুম্বলে এখন আছেন আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি পাঞ্জাব কিংসের দায়িত্বে। চেন্নাইয়ের গ্রেট লেকস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আয়োজিত এক ওয়েবিনারে ক্রিকেটে প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন সাবেক এ লেগ স্পিনার। তিনি মনে করেন, ক্রিকেটে সামনে প্রযুক্তির প্রভাবটা মেনে নেওয়াই ভালো।
হক-আইয়ের মতো প্রযুক্তি টেলিভিশন সম্প্রচারকেরা এনেছিলেন। কুম্বলে বলছেন, সামনে আরও নতুন প্রযুক্তি আসবে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে খেলার সম্প্রচার মাথায় রেখে, ‘আমার মনে হয় না খেলায় কেবল সম্প্রচারকদের প্রভাবেই প্রযুক্তি আসবে (নতুন)। ফেডারেশনগুলোও উদ্ভাবনী উপায় খোঁজা শুরু করবে নতুন প্রযুক্তি আনার ক্ষেত্রে। কারণ অনেক বছর ধরেই টেলিভিশন সম্প্রচারকেরাই এসব উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছেন, যেটা এই খেলার জন্য দারুণ। এখন আমরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে এগোচ্ছি, খেলায় তাই আরও প্রযুক্তি আসবে। সামনের দিকে এগোনোর সময় আমার কাছে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হবে এটাই।’
ভবিষ্যতে প্রযুক্তি ছাড়া আরও গতি নেই, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক, ‘ক্রিকেটে ডিআরএসের প্রভাব এরই মাঝে স্পষ্ট হয়েছে। আমি নিশ্চিত, ভবিষ্যতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির আরও প্রভাব থাকবে। এসব উদ্ভাবন কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে যদি খেলোয়াড়রা এগিয়ে না আসে, তাহলে তারা পিছিয়ে পড়বেন।’
প্রযুক্তির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নিতেও বলছেন কুম্বলে, ‘আমি জানি, খেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকেই এটাকে অতিরিক্ত মনে করেন, কেউ ভাবেন সেই পুরোনো “বলকে দেখা ও মারার উপায়”টাই সরল। হ্যাঁ, এটা সরল। তবে আমার মনে হয়, প্রযুক্তির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারলে, এটাকে খেলার আরও ভালো করার কাজে ব্যবহার না করলে পিছিয়ে পড়তে হবে।’
টেস্টের পর ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টির সঙ্গে ক্রিকেটে এখন এসেছে ১০০ বলের ম্যাচ ‘হানড্রেড’-ও। কুম্বলের মতে, ম্যাচের পরিধির সঙ্গে বাড়বে প্রযুক্তির ব্যবহার, ‘সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ডেটার ওপর নির্ভরতা বেশি হবে। টেস্টের চেয়ে ওয়ানডে, ওয়ানডের চেয়ে টি-টোয়েন্টি, এরপর এখন হানড্রেডে আরও বেশি এর ব্যবহার হবে। স্কোয়াড গঠন, কৌশল ঠিক করতে, ‘ম্যাচ-আপ’-এর ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বাড়বে। আমরা ‘ম্যাচ-আপ’-এর কথা বলি, এটা দিয়ে দলের কৌশল ঠিক করি। এটাই চালিকাশক্তি হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতে।’