ভবিষ্যতে মহামারি মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই। তবে বর্তমানে প্রযুক্তিটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ১০ থেকে ২০ বছর লেগে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আয়োজনে ‘দাভোস অ্যাজেন্ডা মিটিং’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে পিচাই এসব কথা বলেন।
সুন্দর পিচাই বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী করোনার ভয়াবহতা যেমন আপনারা দেখছেন, তেমনই দেখছেন অর্থনীতি সচল রাখতে প্রযুক্তি কেমন ভূমিকা রাখছে। গত কয়েক দশকের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ওপর নির্ভর করেই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ হচ্ছে।’
ভার্চ্যুয়াল মিটিংয়ে সুন্দর পিচাইকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ভ্যাকসিন বিতরণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাহায্য করতে পারবে কি না। উত্তরে পিচাই বলেছেন, ‘আজ আমাদের হাতে এই কাজে সাহায্য করার জন্য টুলস আছে। যেমন ক্লাউড কম্পিউটিং, মেশিন লার্নিং এবং অ্যালগোরিদম। তবে এসব এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।’
পিচাইয়ের মতে, বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান কোনো একক দেশ করতে পারে না। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে যেমন প্যারিস অ্যাগ্রিমেন্ট করা হয়েছে, তেমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো প্রযুক্তির সাহায্যে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে রাষ্ট্রগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। আর সে কাজে প্রয়োজনে অতিরিক্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
সুন্দর পিচাইয়ের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, বড় পরিসরে কবে নাগাদ কোয়ান্টাম কম্পিউটার পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরে আমরা হয়তো “কোয়ান্টাম ক্লাউড” দেখতে পাব। তবে ১০ থেকে ২০ বছরের আগে পুরো সম্ভাবনা কাজে লাগানো যাবে না।’ সূত্র: গ্যাজেটস নাউ