যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন ৭টি ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তা অধিক পরিমাণ সংক্রামক কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি। তবে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি হেলথ সায়েন্সেস সেন্টার শ্রেভেপোর্ট-এর ভাইরোলজিস্ট জেরেমি কামিল দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে, এই রূপান্তরের মধ্য দিয়ে কিছু একটা ঘটতে চলেছে। নতুন এই গবেষণার সহ-লেখক তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সায়েন্স এলার্ট। এতে বলা হয়েছে জেরেমি কামিল বলেছেন, তিনি এই করোনা ভাইরাসের নমুনা নিয়ে এর সিকুয়েন্সিং করার সময় নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেখতে পান। এগুলো একই অ্যামাইনো এসিডে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এ জন্য যে, নতুন এই রূপান্তরিত ভাইরাস সহজেই মানবকোষে প্রবেশ করতে পারে। তিনি আরো বলেছেন, এসব ভাইরাস একই ধরনের। এর জিনোম অনলাইন ডাটাবেজে দেয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে, নিউ মেক্সিকোতে বিজ্ঞানীরা একই রকম রূপান্তর দেখতে পেয়েছেন। জেরেমি কামিল এটা দেখতে পেয়েছেন ১লা ডিসেম্বর। অন্যদিকে নিউ মেক্সিকো থেকে ডাটা সংগ্রহ করা হয়েছে অক্টোবরে। কিন্তু ভাইরাসের এই রূপান্তর প্রকৃতপক্ষে কবে থেকে শুরু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওদিকে করোনা ভাইরাসের রূপান্তর প্রথম আবিষ্কার করা হয় বৃটেনে। এই ভাইরাস বি.১.১.৭ নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার অন্য স্ট্রেইনগুলো যে গতিতে বিস্তার লাভ করছে তার তুলনায় শতকরা ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ বেশি বিস্তার হচ্ছে এই রূপান্তরিত ভাইরাস। অন্যদিকে বৃটিশ সরকারের বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, একই ভ্যারিয়েন্ট মূল ভাইরাসের চেয়ে শতকরা ৩০ ভাগ থেকে ৭০ ভাগ বেশি ভয়াবহ।