সিলেট

কে এই অস্ত্রধারী?

চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ফাহাদকে নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটে। সংঘর্ষের সময় চৌহাট্টা এলাকায় অবস্থান করছিলেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তার খুব কাছ থেকে ওই ফাহাদকে শর্টগান ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ পুলিশ আটক করেছে। এ সময় সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মচারিরা দাবি করেছে- মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপর হামলা চালাতে অস্ত্রধারী ওই যুবক প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এমন সময় শ্রমিকরা তাকে ধরে পুলিশে দেন। তবে পরিবহন শ্রমিক নেতারা দাবি করেছেন- গ্রেপ্তারকৃত ফাহাদ তাদের কেউ নন।

এদিকে- আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ফাহাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার পুরো নাম ফয়সল আহমদ ফাহাদ।
সে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। সে সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন খানের সহকর্মী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুপুর একটায় চৌহাট্টায় সংঘর্ষের সময় হঠাৎ লাল গেঞ্জি ও কালো প্যান্ট পড়া এক যুবককে বন্দুক হাতে দেখা যায়। এ সময় সে গুলি ছোড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এ দৃশ্য দেখে পাশে থাকা সিটি করপোরেশনের শ্রমিক ও পুলিশ দল গিয়ে তাকে ধাওয়া করে আটক করে। এ সময় কেউ কেউ তাকে মারধরও করেন। তাকে যখন আটক করা হয় তখন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কাউন্সিলরদের নিয়ে চৌহাট্টা পয়েন্টের অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে আটকের পর সিটি করপোরেশনের কর্মচারিরা দাবি করেন- মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর ওপর হামলা চালাতে ওই যুবক চৌহাট্টায় অবস্থান নিয়েছিলেন। তিনি বন্দুক তাক করার মূহূর্তে পুলিশ তাকে আটক করে। আটক ফাহাদকে তারা পরিবহন শ্রমিক নেতা হিসেবে পরিচয় দেন।

তবে- উত্তর চৌহাট্টা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি অরুন দেবনাথ মানবজমিনকে জানিয়েছেন- আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক হওয়া যুবককে তারা চিনেন না। ওই যুবক পরিবহন শ্রমিকদের কেউ নন বলে দাবি করেন তিনি। আর ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আপ্তাব হোসেন খানও জানিয়েছেন- অস্ত্রসহ আটক যুবক তার কেউ নন। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- আটক ওই অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button