গৃহকর্মীর হাতেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক (৮৬)।
অসদাচরণের কারণে গৃহকর্তা প্রায় সময় গালাগাল করতেন। আর এতেই ‘অতিষ্ঠ’হয়ে গৃহকর্মী জমির উদ্দিন আব্দুল হককে খুন করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছে জমির।
বুধবার জেলা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিতু।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জমিরকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জমির স্বীকার করে তিনি নিজেই তার গৃহকর্তাকে খুন্তি দিয়ে খুন করে নিজের চোখ-মুখ বেঁধে হত্যাকাণ্ডের নাটক সাজায়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির পেছনে পুকুরে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা সেচ দিয়ে পানি ফেলে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত খুন্তি (মাটি খুঁড়ার যন্ত্র), নিহতের মোবাইল ফোন, জমিরের দুটি মোবাইল সেট।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ উদ্ধার অভিযান চালায় সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
এর আগে সোমবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে চেয়ারম্যান আব্দুল হকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনরা জানায়, প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আবদুল হক মিয়া নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির গৃহপরিচারিকা ও প্রহরী এসে দেখেন আবদুল হক এখনো ঘুম থেকে জাগেননি। পরে তারা ডাকাডাকি করেও গৃহকর্তার সাড়া না পেয়ে ঘরের পেছনের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকেন। এ সময় গৃহকর্তাকে খাটের ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় আর গৃহকর্মী জমির উদ্দিনকে মুখ ও দুই পা কাপড় দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।