জিততে হলে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সে লক্ষ্যে ভালোই শুরু করেছিলেন সফরকারী দলের দুই ওপেনার ক্রেগ ব্রাফেট ও জন ক্যাম্পবেল।
ধীরেসুস্থে ব্যাট করে ৩৯ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন দুজন। কিন্তু ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ক্যাম্পবেলকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নিজের পরের ওভারে ব্রাফেটকেও তুলে নেন এ অলরাউন্ডার।
চট্টগ্রাম টেস্ট দারুণ কাটছে মিরাজের। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন আটে নেমে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট (৪/৫৮)।
এবার সফরকারী দলের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম আঘাতটা এল মিরাজের ঘূর্ণি থেকে। মিরাজকে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে পাননি ক্যাম্পবেল (২৩)। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। পরের ওভারে ব্রাফেটকে (২০) শর্ট লেগে বদলি ফিল্ডার ইয়াসির আলীর ক্যাচে পরিণত করেন মিরাজ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২ উইকেটে ৪৯ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট করছেন শেন মোজলি ও এনক্রুমা বোনার।
ক্যারিবীয়ানদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩তম ওভারে একবার ক্যাম্পবেলকে একইভাবে ফাঁকি দিয়েছিলেন মিরাজ। কিন্তু তখন তাঁর এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। ব্রাফেটের ক্যাচটি ডাইভ দিয়ে ধরেন ইয়াসির।
অষ্টম ওভারে তাইজুলের বলে একবার বিপদের মুখে পড়েছিলেন ব্রাফেট। কিন্তু সে যাত্রায় রিভিউ নিয়েও ক্যারিবীয়ান ওপেনারকে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই প্রান্ত থেকে বোলিংয়ের শুরু করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও তাইজুল ইসলাম।
দুই বোলারকে ভালোই দেখেশুনে খেলছিলেন ক্যাম্পবেল–ব্রাফেট। বাজে বল পেলে স্ট্রোক খেলতে কেউ ছাড়েননি। লক্ষ্যটা অনেক বড় হওয়ায় খুব ধৈর্য নিয়ে খেলতে হচ্ছে ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানদের। উইকেট থেকে বাঁক পাচ্ছেন মিরাজ ও তাইজুল।
এক পেসার নিয়ে মাঠে নামায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে যত দ্রুত সম্ভব অলআউট করতে চার স্পিনারই ভরসা বাংলাদেশ দলের। চোটের কারণে এর মধ্যে আবার সাকিব আল হাসানকে এখনো বোলিংয়ে ফেরাতে পারেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক।
চট্টগ্রাম টেস্ট জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ইংল্যান্ড। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের নজির আছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।