বিশ্ব

নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০২২ পেলেন ফারহানা আইরিন

নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্যুরিজম,বিজনেস ও কালচারাল সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুতে নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক সেমিনার ও “নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০২২” প্রদান অনুষ্ঠিত হয়।

২৮ নভেম্বর কাঠমুন্ডুর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসাবিদ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকায় অবস্থানকারী নেপালী নাগরিক বিদেশী মুক্তিযোদ্ধা ডঃ ভোলা রিজাল, বিশেষ অতিথি ছিলেন পালেওয়াস সিটি কর্পোরেশনের মেয়র গঙ্গাধর তিওয়ারী, নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিষ্টার এন্ড ডেপুটি চীফ অব মিশন ইসরাত জাহান প্রমুখ। নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট দীনদয়া রিজালের সভাপতিত্বে ও কনভেনার ইমদাদুল হক তৈয়বের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী, নেপালী ও ভারতীয় অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে অংশগ্রহনকারী নেপাল ও বাংলাদেশের আমন্ত্রিত বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
ফারহানা আইরিন তার বক্তব্যে বলেন; ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা লাভের পর বাংলদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশ হচ্ছে নেপাল। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের পাশাপাশি বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে নেপালও আমাদের সহযোগী ছিলো। এমনকি বেশ কিছু নেপালী নাগরিক বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিদেশী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহন করেন। এজন্যে নেপালের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ আছি। ভবিষ্যতেও নেপালের সাথে আমাদের ট্যুরিজম বিজনেস ও সাংস্কৃতিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংগঠন নেপাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।

অনুষ্ঠানে নেপালের পাঁচজন ও বাংলাদেশের সাতজন গুণীব্যাক্তিকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় “নেপাল ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এওয়ার্ড-২০২২ প্রদান করা হয়। বাংলাদেশী এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ফারহানা আইরিন। এওয়ার্ড প্রাপ্ত বাংলাদেশী অন্যান্য গুনীজনরা হলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাঃ নিজামুল হক নাসিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, বাংলা টিভির পরিচালক মীর শামস শান্তনু, আবাসন শিল্প নতুনধরার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ সাদী উজ জামান, দুবাই প্রবাসী নারী ব্যাবসায়ী শেফালী আক্তার আখি, ওমান প্রবাসী ব্যাবসায়ী, সমাজসেবক শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গতঃ ফারহানা আইরিন একজন নারী নেত্রী, কবি, সংগঠক ও সমাজ উন্নয়ন কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি ফেনী জেলা জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি, লেখক–সাংবাদিক ঐক্য ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির নারী কল্যাণ সম্পাদক, বাংলাদেশ নারী কল্যাণ সংস্থার সহ-সভাপতি, ওমেন এন্টারপ্রেনার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সদস্য, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ফেনী জেলা শাখার আজীবন সদস্য, ও দাগনভুঞা শিল্পকলা একাডেমীর সদস্য। ইতোপূর্বে তিনি গ্রামীন নারী উন্নয়ন’র সভাপতি, অঙ্গণা’র নির্বাহী পরিচালক,ফেনী পোয়েট সোসাইটির অর্থ-সম্পাদক, ফেনী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের যুগ্ম-আহবায়ক, সুজাতপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সুজন সিন্দুরপুর শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

সম্পর্কিত

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button