নোয়াখালী বেগমগঞ্জের শরীফপুরে বাড়ীর পাশে সহাপাঠির নিকট থেকে অনলাইলে পরীক্ষার নোট আনতে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারন মামলায় দুই আসামি আবদুর রহমান (২৪) ও ইব্রাহিম (২২) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে তাদেরকে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাক থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শরীফপুর ইউনিয়নের বাবুনগর খোনার বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে আবদুর রহমান (২৪)ও তার বন্ধু একই গ্রামের শরীফ মিয়াজি বাড়ির দুলালের ছেলে ইব্রাহিম (২২) ।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম স্কুল ছাত্রীকে দলবেঁধে র্ধষণ মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেগমগঞ্জর শরীফপুর ইউনিয়নের হাসানহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী শুক্রবার রাত সোয়া দশটার দিবে বেগমগঞ্জ মডেল থানা এসে পুলিশকে জানায়, বিকেল তিনটার সময় পাশ্ববর্তী তার সহপাঠি জেনির বাড়ী থেকে অনলাইনের পরীক্ষার নোট আনতে যাওয়ার সময় পাশের বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে আবদুর রহমান তার মুখ চেপে ধরে নির্মাণার্ধীণ নতুন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ওড়ানা দিয়ে হাত বেঁধে সেখানে তাকে ধর্ষণ করে এবং আছরের নামাজের পর আবদুর রহমান তার বন্ধু ইব্রাহিমকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে তখন আবার তাকে ধর্ষণ করে।
এ সময় ইব্রাহিম ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারন করে। এর পর ইব্রাহিম ধর্ষণ করে আর আব্দুর রহমান সে ভিডিও ধারন করে। এভাবে দু জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আর ভিডিও করে। মাগরিবের নামাজের পর আবদুর রহমান নিয়াতনের শিকার ছাত্রীর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও নাকফুল জোরপুর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে সে বাড়িতে এসে তার বাবা মাকে বিষয়টি জানায় ।
এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামী আব্দুর রহমানও ইব্রাহিমকে লক্ষীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরে তাদের নোয়াখালী বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।