প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবে স্থবির হয়ে আছে গোটা বিশ্ব। শিশু, যুবক ও বৃদ্ধ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না এ ভাইরাস। এই কোভিড-১৯ ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিটি দিনই সংক্রমণের রেকর্ড গড়ে যাচ্ছে দেশটি। ভারতে ভাইরাসটি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে, হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ভারতবাসীদের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করলেন পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার ও অধিনায়ক বাবর আজম। তার অনেক ভক্ত রয়েছে ভারতে। তাই প্রতিবেশী এই দেশের প্রতি একটা আলাদা টান রয়েছেন বাবরের। তাছাড়া সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতাই প্রকাশ পেয়েছে পাকিস্তান অধিনায়কের কাছ থেকে।
ভারত-পাকিস্তান প্রতিবেশী হলেও রাজনৈতিক কারণে দুই দেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়। দুই দেশের কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রিকেট মাঠেও দেখা যায়।
আর ভারত ও পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ সর্বশেষ কবে খেলেছে, সেটা হয়তো ভুলে গেছেন ভক্তরা। আইসিসির কোনো বড় ইভেন্ট ছাড়া এখন আর চোখে পড়ে না কোহলি ও বাবরদের বাইশ গজের লড়াই। তারা একে অন্যের শত্রু শিবির। কিন্তু মাঠের বাইরে দুই দেশের বেশ কিছু ক্রিকেটাররা পরস্পরের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত।
তাই করোনার এই কঠিন সময়ে এসব বিষয়ে পাত্তা দেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক। তিনি এমন বিপদের সময় একজোট হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালানো উচিত বলে মনে করেন। তাই ভারতবাসীদের আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করেছেন বাবর। ছবিটি ছিল দুবাইয়ের সুউচ্চ ভবন বুর্জ খলিফার। আর সেটাতে লেখা আছে, স্টে স্ট্রং ইন্ডিয়া। ছবির ক্যাপশনে বাবর লিখেছেন, এমন একটা বিপর্যয়কর সময় ভারতের জনগণের জন্য প্রার্থনা করছি। এখন সময় এক হওয়ার, এক হয়ে প্রার্থনা করার। আমি সবাইকে অনুরোধ করছি সরকারি স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার। এটি আমাদের সবাইকে নিরাপদে রাখার জন্যই। সবাই মিলে এটা আমরা করে দেখাতে পারি খুব সহজেই।
এছাড়া পাকিস্তানের আরেক সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার ভারতের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে। এদিকে আইপিএলে খেলা অজি ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স কোভিড যুদ্ধে ভারতকে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ভারত সরকারের তহবিলে ৫০ হাজার ডলার অনুদান দেন তিনি।