আদালত প্রতিবেদকঃ কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির উন্নয়ন কাজে বরাদ্দকৃত সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় পলাতক আসামী সাংবাদিক জহিরুল হক মিলুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এসময় মিলুসহ ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে উক্ত মামলায় চার্জগঠন (অভিযোগগঠন) করেছে আদালত। ৩১ মে সোমবার দুপুরে শুনানী শেষে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (১) এর বিচারক মোঃ আকতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। মিলু সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম তুলাতলী অরপে ফালগিরি গ্রামের মৃত মাস্টার এনামুল হকের ছেলে। মিলু বর্তমানে ডুবাই পলাতক রয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা গেছে, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির উন্নয়ন কাজের জন্য ২০১৮ সালে সরকারি প্রকল্প থেকে ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওই সময় কার্যকরী কমিটিতে থাকা অবস্থায় এজেন্ডা ও সিদ্ধান্ত বহির্ভূতভাবে ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মিলন (আলোকিতবাংলাদেশ) কে আহবায়ক ও ক্রীড়া সম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সার (,স্টার লাইন,বনিকবার্তা-জাগোনিউজ) কে সদস্য সচিব এবং সাবেক সভাপতি জহিরুল হক মিলু (৭১ টিভি) ও দফতর সম্পাদক দিদারুল আলম (এটিএননিউজ-দৈনিক ফেনী) সহ ৭ সদস্য বিশিষ্ট ভুয়া প্রকল্প কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ও সভার ভুয়া রেজুলেশন জমা দিয়ে এই চার সাংবাদিক একে অপরের সাথে যোগসাজশ করে ইউনিটির গঠনতন্ত্রকে অমান্য করে চেক জালিয়াতি করে ব্যক্তিগত একাউন্টে টাকা জমা করিয়ে উত্তোলনকৃত প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করে। বিষয়টি ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ কার্যকরী পরিষদের সভায় সদস্যরা উপস্থাপন করলে চার সাংবাদিকের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারটি জানাজানি হয়। এর প্রেক্ষিতে ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ওসমান হারুন মাহমুদ দুলালকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির আহবায়ক বরাদ্দকৃত ৮০ হাজার টাকাসহ আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেয়ায় মিলু-মিলনকে শোকজ করে কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হাবিবুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের বিচারক ইমরান হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআই ফেনীকে নির্দেশ দেন।পরবর্তীতে পিবিআই তদন্ত করে মামলার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। তখন আদালত আসামীদের প্রতি সমন জারি করেন।
একটি সূত্র জানিয়েছে গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত আসামী জহিরুল হক মিলু ও তার স্ত্রী নাজরানা হাফিজ অম্লান বর্তমানে আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ক্লাস্টার ইন্টারন্যাশনাল সিটিতে নুর এন্ড নাজরানা রেস্টুরেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। নুর এন্ড নাজরানা রেস্টুরেন্টের ফোন নাম্বার +971544005916