ফেনীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্বামী ও স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্বামী ও স্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভূক্তভোগীরা জানান, মোটবী গ্রামের করম আলী মিঝি বাড়ীতে দু’তলা ভবনে বসবাস করে আসছেন হাজী আবদুল কাদেরের তিন ছেলে। দীর্ঘদিন তাদের পরিবারের মাঝে বনিবনা হচ্ছিলোনা। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জহিরুল ইসলাম সোহেলের পরিবারের সাথে নজরুল ইসলামের পরিবারের বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। তাৎক্ষণিক প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে ঘটনা চুপসে দেয়ার চেষ্টা করেন। বিকালে উভয় পরিবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের ধারস্থ হলে তিনি দুই পরিবারকে সতর্ক করেন। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উভয় পরিবার ফের বিতর্কে জড়ালে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম রোজী এবং ছেলে মারুপ দা ও স্টাম্প নিয়ে সোহেল ও তার স্ত্রী স্মৃতির উপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আহত জহিরুল ইসলাম সোহেল জানান, লেবানন থাকাকালে আমার ভাই নজরুলকে ১০ লাখ টাকা হাওলাত দেই। কিন্তুু সে এ টাকা নানা টালবাহানা করে ফেরত দিচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে আমাদের মাঝে কয়েকবার বাকবিতন্ডাও হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আমার ছেলে তনিম নিচতলায় আসলে বিনা কারণে তাকে ইট মেরে আহত করেন আমার ভাবী নাজমা বেগম। রাতে আমার ভাই, ভাবী ও ভাতিজা দা ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। বর্তমানে আমি ও আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ এলএলবি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিকালে তারা আমার কার্যালয়ে আসলে আমি দুই পরিবারের মাঝে সমঝোতা করে দেই। কিন্তুু রাতে ফের তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের আইনী সহযোগিতা নিতে বলা হয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, এবিষয়ে কেউ তাকে অবহিত করেননি। আইনগত সহযোগিতা চাইলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।