ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ধর্ষণের মামলায় আসামি হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তথ্য জানানো হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম প্রজ্ঞাপনের পত্রটি মঙ্গলবার বিকেলে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু ফেনী জেলার ফুলগাজী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০০৩ এর ধারায় ফুলগাজী থানা দায়েরকৃত মামলা নং-৩৪ জিআর নং ৩৫/১৮ তারিখ ১২ জুন ২০১৮ এবং নারী শিশু নির্যাতন মামলা নং-৪০/১৯ তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৯ এর অভিযোগ পত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ফেনী বর্ণিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন।
যেহেতু ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার ১নং ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফুলগাজী থানায় দায়েরকৃত মামলা নারী শিশু মামলার অভিযোগপত্র বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদ ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সম্ভব নয়। এ মর্মে সরকার মনে করে সেহেতু ফুলগাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সংগঠিত অপরাধ মূলক কার্যক্রম পরিষদের জনস্বার্থ পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৪/১ অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারী করা হলো এবং অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে উচ্চ আদালতে রিট করবেন। আশা করছেন আদালত তার পক্ষে রায় প্রদান করবেন।
প্রসঙ্গত, পারিবারিক কলহের জেরে সালিশি বৈঠককে কেন্দ্র করে বিচারপ্রার্থী এক গৃহবধূ তার ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ভাগিনাকে নিয়ে ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে যান।