ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার তারাকুচা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক ৩ নারীর মধ্যে একজনের করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। তারা গত ২০ মে আটক হওয়ার পর থেকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
ফেনীর ৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আব্দুর রহিম জানান, গত ২০ মে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার তারাকুচা সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ঢাকার মিরপুর এলাকার মোছা. নুর জাহান আক্তার (২৩), ঢাকার সাভারের চামরা গ্রামের মোছা. সেলিনা আক্তার (২৪) ও চট্টগ্রামের পেকুয়া থানার নাপিতখালি গ্রামের মোছা. খালেদা আক্তারকে (২২) আটক করে ফুলগাজী থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃতদের ভাষ্যমতে, তারা গত ২০ এপ্রিল যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে লকডাউনে আটকা পড়েন। পরে ভারতীয় লোকের সহযোগিতায় ফুলগাজী সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইলে বিজিবির হাতে আটক হন।
এ বিষয়ে ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনএন নুরুজ্জামান জানান, বিজিবির হাতে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর আদালত তাদেরকে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পরে তারা জামিন পেলেও কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার পর মুক্তি দিতে আদালত আদেশ জারি করেন। আটকের পর থেকে তারা ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজনের করোনা পজেটিভ আসায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া যাচ্ছে না।
ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবিএম মোজাম্মেল হক জানান, ভারত ফেরত ওই তিন নারীর থেকে প্রথম দুই সপ্তাহে নেওয়া নমুনায় করোনা নেগেটিভ ছিল। কোয়ারেন্টিনের শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার সংগৃহীত নমুনায় একজনের পজিটিভ আসায় তাদেরকে মুক্তি দেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, করোনার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া ওই নারীর মাঝে এখন পর্যন্ত কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। আজ শনিবার পুনরায় তাদের থেকে চতুর্থবার করোনা পরীক্ষার নমুনা নিয়ে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।