বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদের শারীরিক খোঁজ নিতে তার বাসায় গেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গুলশান কার্যালয়ের শায়রুল কবির খান জানান, আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের মোহাম্মদপুরের হাউজিংয়ের বাসায় যান মির্জা ফখরুল। এ সময় দলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অসুস্থ রুহুল কবির রিজভীকে দেখতে যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ শাহজাহান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল। শাহজাহান বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, রিজভী শারীরিকভাবে স্বাভাবিক হচ্ছেন।’
গত ৯ মে স্কয়ার হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ছাড়পত্র নিয়ে বাসায় ফেরেন বিএনপির রিজভী। বাসায় ব্যক্তিগত চিকিসকদের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।
দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা জানান, খালেদা জিয়া নিজে অসুস্থ হলেও বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসকদের মাধ্যমে রিজভীর খোঁজ নিয়েছেন। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতই রিজভীর শারীরিক খোঁজ নিচ্ছেন।
তবে, হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার পর রুহুল কবির রিজভীকে দলীয় নেতাকর্মীরা ভুলতে বসছিলেন। এই অবস্থায় ঈদের দিন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঈদের পরেরদিন মির্জা আব্বাস রিজভীর বাসায় গিয়ে তার শারীরিক খোঁজ নেন। এছাড়াও রিজভীকে দেখতে বাসায় যান দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, ‘৯ মে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়া রুহুল কবির রিজভীকে প্রথম দেখায় চেনার উপায় ছিল না। শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল।’
রুহুল কবির রিজভী গত ১৬ মার্চ করোনা টেস্ট করলে পজেটিভ রেজাল্ট নিয়ে পরদিন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। ১ এপ্রিল শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চেস্টের সিটি স্ক্যানে নানা জটিলতা ধরা পড়লে অক্সিজেন সহায়তা ছাড়া তিনি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছিলেন না বলে আইসিইউতে রেখে তার চিকিতসা করা হয় বেশ কিছু দিন। গত ১৭ এপ্রিল রিজভীর করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এর আগে তিনদফা টেস্টে পজেটিভ আসে।