রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। এদিন ভোরের পর থেকে বেগম জিয়ার সামান্য শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সোমবার রাত পৌনে আটটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেডএম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত চিকিৎসার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্ববধানে ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা তত্ত্ববধান করছেন। আজ (সোমবার) ভোরের দিকে ওনি একটু শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। শ্বাসকষ্ট অনুভব করার পর চিকিৎসকরা তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।
পরে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তক্রমে করোনা কেয়ার ইউনিট সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয় তাকে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা দেশবাসীর কাছে ওনার রোগ মুক্তির জন্য দোয়া চাই।
এক প্রশ্নে জাবাবে ডা. জাহিদ বলেন, মানুষের যেকোন সময়, যেকোন পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ম্যাডামের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। চিকিৎসকরা সম্মিলিতভাবে এই পরীক্ষা নিরীক্ষাগুলো করছেন।
বেগম জিয়া এখন কেমন আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা ইউনিটে যখন কোন রোগী থাকে তখনতো স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসই নেয়। আমি কয়েক মিনিট আগে ওনার সঙ্গে দেখা করে আসছি। কথা বলে আসছি।
এর আগে রোববার রাতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বৈঠকে বসে। আগে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে তা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড পর্যালোচনা করে। পরে তারা নতুন কিছু পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন।
গত ১০ই এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয় বারের মতো খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট হলেও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭শে এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।