আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে বিএনপি বারবার স্বাধীনতার চেতনা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে মিলে বিএনপির স্বাধীনতা দিবস পালন তামাশা ছাড়া কিছু নয়।’
বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি। সরকারি বাস ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সভায় যুক্ত হন তিনি।
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে বাস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কারণে বাস মালিকরা জ্বালাও পোড়াওয়ের ভয়ে বাস চালানো বন্ধ করে দেয়। এতে সরকারের কোনো হাত নেই। বিএনপি লাঠিসোটা দিয়ে পুলিশকে পেটাচ্ছে এটা জনগণ দেখছে। এটাই বিএনপির রাজনীতি। বিএনপি তাদের নেতিবাচক রাজনীতির ধারা থেকে বের হয়ে আসতে পারেনি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অপরাজনীতির কারণে জনগণ ও নেতাকর্মী থেকে বিএনপি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের ভোট নেই। তাই পরাজয় নিশ্চিত জেনে তৃণমূল নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে।’
এ সময় নিজ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘অনেকেই উপ-কমিটিতে নাম লেখানোর পর আর খোঁজ-খবর পাওয়া যায় না। উপ-কমিটির সদস্য পদে নাম লিখিয়ে কেউ কেউ কার্ড ছাপিয়ে নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবার একজন বিভিন্ন কমিটিতে নাম লেখান, তাদের নাম সব কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে।’
এ সময় সততা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে সবাইকে কাজ করার পরামর্শ দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব সুজিত রায় নন্দীর সঞ্চালনায় পরিচিতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপাসহ ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।
ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ অসুস্থ থাকায় সভায় অংশগ্রহণ করেননি।
এর আগে সকালে ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর নেতৃত্বে উপ-কমিটির সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২-এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।