শীতের শেষবেলায় প্রকৃতি ছুঁয়ে গেল বৃষ্টি। তাতে অবশ্য পথঘাট ভেসে যায়নি, সামান্য ভিজেছে মাত্র। কোথাও কোথাও ঝিরিঝিরি, কোথাও আবার নামমাত্র দু-এক ফোঁটা। হিমালীয় এলাকায় প্রভাব ফেলা যে লঘুচাপের জন্য বৃষ্টি নেমেছিল, তার প্রভাব আর নেই। কাজেই বৃষ্টিও আর হবে না, শীতের তীব্রতাও বাড়বে না।
গত রাতে দেশের প্রায় আটটি অঞ্চলে কিছু বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা ও সাতক্ষীরায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩ মিলিমিটার। বরিশাল ও ভোলায় বৃষ্টি হয়েছে ১ মিলিমিটার আর কুমিল্লা ও গোপালগঞ্জে খুব সামান্য। তবে অনেক অঞ্চলে আকাশে মেঘ আছে।
আগের দিনের তুলনায় গত রাতে দেশে তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি কমেছিল।
আবহাওয়ার নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে টেকনাফে, ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশে আজ ১০ ডিগ্রির নিচের তাপমাত্রা রয়েছে দুটি এলাকায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং এর চেয়ে একটু বেশি তেঁতুলিয়ায়, ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি। রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আজ ২৬ দশমিক ৪ ও সর্বনিম্ন ১৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আমাদের শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড় প্রতিনিধি জানান, তাপমাত্রা নেমে গেলেও শীতের প্রভাব তেমন নেই। সকাল সকাল রোদ উঠে গেছে। আকাশ পরিষ্কার। বাতাসের ঝাপটাও তেমন নেই। ঝলমলে রোদ থাকায় তাপমাত্রা কমে গেলেও শীতের অনুভূতি তেমন হচ্ছে না। জীবনযাত্রায় কোনো জড়তা নেই, স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
আবহাওয়া বিভাগের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের হিমালীয় পাদদেশে এবং আমাদের দেশের উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের কিছু এলাকায় যে লঘুচাপের প্রভাব ছিল, তা কেটে গেছে। এখন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কিছু কিছু এলাকায় আকাশে মেঘ আছে। তাপমাত্রা এখন যেমন আছে আগামী দু-এক দিন তেমনই থাকতে পারে।