মিয়ানমারে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে কমপক্ষে ১৬ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। আজ শনিবার ইয়াঙ্গুনসহ দেশটির কয়েকটি শহরে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
আজ দেশটিতে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে এক ভাষণে দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং বলেছেন, ‘সেনাবাহিনী জনগণকে রক্ষা করবে এবং গণতন্ত্রের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
এদিন গুলির ভয় উপেক্ষা করেই ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা ইয়াঙ্গুন, মান্দালয় এবং অন্যান্য শহরগুলোর রাস্তায় বেরিয়ে আসে।
ভোরে ইয়াঙ্গুনের ডালা শহরতলিতে একটি পুলিশ স্টেশনের বাইরে বিক্ষোভরত জনতার ওপর নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালালে কমপক্ষে চারজন নিহত হয় ও ১০ জন আহত হয়।
শনিবার নগরীর ইনসেইন জেলায় একটি প্রতিবাদে স্থানীয় একটি অনূর্ধ্ব -১১ ফুটবল দলের এক খেলোয়ারসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ইয়াঙ্গুনের নিকটবর্তী বাগো অঞ্চলে পূবে লশিও শহরে চারজন এবং পৃথক ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। উত্তর-পূর্বের হোপিন শহরে নিহত হয়েছে একজন।
পদচ্যুত আইনপ্রনেতাদের নিয়ে গঠিত জান্তাবিরোধী একটি গ্রুপ সিআরপিএইচের মুখপাত্র ড. সাসা বলেন, ‘আজ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য লজ্জার দিন। ৩০০ জনেরও বেশি নিরীহ নাগরিককে হত্যার পর সামরিক জেনারেলরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন করছেন।’
এদিকে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাজধানী নেপিডোয় একটি সামরিক কুচকাওয়াজে সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এ সময় কোনো সময়সীমা না দিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী দেশের গণতন্ত্র রক্ষার জন্য জনগণের সঙ্গে একত্রিত হয়ে কাজ করতে চায়।’
কর্তৃপক্ষ জনগণকে রক্ষা করার ও দেশজুড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘যেসব সহিংস কর্মকাণ্ড স্থিতিশীলতা ও শান্তি বিনষ্ট করে, এগুলো জনগণের দাবিকে অসার করে তোলে।