বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হঠাৎ তাপমাত্রায় হেরফের হলে তার প্রভাব পড়ে হৃদ্যন্ত্রের উপরেও। বহু গবেষণায় দেখা গেছে, শীতের মৌসুমে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ছাড়াও হার্টের অন্যান্য সমস্যায় আক্রান্ত হন অনেকে। শীতকালে রক্তনালিগুলির সংকুচিত হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। একে বলে ‘ভ্যাসোকনস্ট্রিকশন’।
আর এমনটা হলে কোনও কারণ ছাড়াই রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যায়। হৃদ্যন্ত্র দ্বিগুণ জোরে কাজ করা শুরু করে। বাইরের তাপমাত্রা অনেকটা কমলে, শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে অসুবিধা হয়। এর ফলে হৃদ্যন্ত্রের রক্তনালিগুলির ক্ষতি হয়। তা ছাড়া, শীতে শরীরের অক্সিজেনের প্রয়োজন বেড়়ে যায়। ভ্যাসোকনস্ট্রিকশনের জন্য এমনিতেই রক্তনালি সরু হয়ে যায়। তাই হৃদ্যন্ত্রে কম অক্সিজেন পৌঁছয়। এতে বেড়ে যায় হৃদ্রোগের ঝুঁকি।
শীতে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখতে কী করবেন
১. শরীরে কোনও রকম কো-মর্বিডিটি থাকলে বা শারীরিক সমস্যা থাকলে এই মৌসুমে শরীরের ওপর বিশেষ নজর দিন। কোনও রকম অনিয়ম থেকে দূরে থাকুন।
২. শীতে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর রাখুন। নিয়ম মাফিক সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বুঝেশুনে খাওয়াদাওয়া করাই ভাল। খুব বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার, ভাজাভুজি, নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন।
৩. শীতে প্রচুর শাক-সবজি পাওয়া যায় যা হার্টের জন্য অনেক উপকারি। তাই শীত মৌসুমে এসব শাক সবজি খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।
৪. শীতকালে ব্যায়াম করতে আলস্য আসে, কিন্তু তবুও এই সময়ে শরীরচর্চায় বেশি মনোযোগ দিতে হবে। যোগাসনেও উপকার পাবেন। হাঁটাহাঁটি করা, জিমে যাওয়া ছাড়লে চলবে না।
৫. শরীরে কোনও রকম অস্বস্তি হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। সতর্ক থাকুন।
৬. সুস্থ-সবল হার্ট পেতে হলে মদ্যপান ও ধূমপান এড়িয়ে চলা ভাল।
৭. বাইরের তাপমাত্রা বুঝে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করুন। যথাযথ শীতবস্ত্র পরুন যেন ঠাণ্ডা না ধরে।