শুরুতে করোনার টিকা নিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলেও তা কাটিয়ে দেশের মানুষ এখন উৎসবের আমেজে টিকা নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড ক্যান্সার রিসার্চের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’টিকা নেওয়ার ব্যাপারে অনেকের একটু দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ছিল; তবে সাহসী ভূমিকা রেখেছে আমাদের… নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। তাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আর এখন আল্লাহর রহমতে আমাদের আর কোনো সমস্যা নেই। এখন সবাই খুব আগ্রহভরে উৎসব মনে করে চলে আসছে টিকা নিতে।’
গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন প্রথম টিকা নেন সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে একযোগে গণ টিকাদান শুরু হয়। যত দিন যাচ্ছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে ভিড়ও তত বাড়ছে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই করোনাভাইরাস যখন এসেছে, মোকাবিলা করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে একেবারে প্রথমে সাত দিনের মধ্যে আমরা দুই হাজার ডাক্তার, ছয় হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। ভবিষ্যতে আরও নিয়োগ দেওয়ার পদক্ষেপও আমরা নিয়েছি; যেন আমাদের দেশের মানুষ অন্তত এই চিকিৎসাটা পায়, তার ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’
টিকা পাওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাস্কটা পরে থাকতে হবে, হাত ধুতে হবে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ভ্যাকসিন আমরা দিয়েছি, দিচ্ছি। সাথে সাথে যেন এই স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে চলে সকলে। তাহলে আমরা আশা করি আমাদের দেশ থেকে এই প্রাদুর্ভাব পুরোপুরি চলে যাবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়নগঞ্জ -৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা, পরিচালক শ্রীমতি সাহা প্রমুখ।