ফরিদপুরের সালথা থানা, উপজেলা পরিষদ এবং এসি ল্যান্ডের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর লকডাউনের মধ্যে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে এসিল্যান্ডের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডার জেরে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এসময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে জুবায়ের নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।
সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করতে পারেনি।
লাশটি পরিবারের কাছে আছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, করোনাকালের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে দুই আনসার সদস্য ও ব্যক্তিগত সহকারীকে নিয়ে এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। সে সময় চা পান করতে আসা জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে লাঠিপেটা করায় তার হাত ভেঙে যায়। এই ঘটনার জেরে পরে ফুকরা বাজারে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন। এমন গুজবে শত শত মানুষ গিয়ে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন। রাত ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ চলে।
সালথার সহকারী কমিশনার ভূমি মারুফা সুলতানা হিরামনি বলেন, সরকার নির্দেশিত আদেশে রুটিন ওয়ার্কে বিভিন্ন বাজারে গিয়েছিলাম। ফুকরা বাজারে সন্ধ্যার আগে যাওয়া হয়। বাজারে চায়ের দোকানে লোকজনের জটলা দেখে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ সময় তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভকারীরা আমার অফিস, গাড়ি ও ইউএনও স্যারের অফিস ভবন ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
সালথা থানার ওসি আশিকুজ্জামান জানান, এসি ল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ফুকরা বাজারে যায়। সেখানে পুলিশের উপরে হামলা হলে এসআই মিজানুর রহমান মাথায় আঘাত পান। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।