পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হওয়ার প্রলো’ভনে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর কাছ থেকে ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। আইনজীবী এমএবিএম খায়রুল ইস’লামের (৪৭) সঙ্গে প্রতারণায় জ’ড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রে’ফতার করেছে পু’লিশের অ’প’রাধ ত’দন্ত বিভাগ (সিআইডি)
তারা হলেন- মো.সাইমুন ইস’লাম (২৬) ও মো. আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি কম্পিউটার, জাল ভিসা ও জাল টিকিটসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জ’ব্দ করা হয়। এ চক্রের মূলহোতা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫)। তাকেও দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
রোববার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থাটির অ’তিরিক্ত ডিআইজি ই’মাম হোসেন তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাসের কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে জাল ভিসা প্রস্তুত করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী। তিনি মাঝেমধ্যে দেশে এসে উচ্চবিত্তদের টার্গেট করে আত্মীয়ের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া নিয়ে যাবেন বলে প্রলো’ভন দেখান। সপরিবারে গেলে (স্বামী-স্ত্রী’) ২৩ লাখ আর একা গেলে ১৮ লাখ, সে হিসেবে চুক্তি করতেন তিনি। রোজী নিজেকে অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন কনস্যুলার জেনারেল হিসেবে মিথ্যা পরিচয় দিতেন।
সিআইডি জানায়, রোজী দেশে থাকাকালীন তার সঙ্গে পরিচয় হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এমএবিএম খায়রুল ইস’লামের। তখন রোজী অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট ম’রিসনের কাছ থেকে পুরস্কৃত হন ও পুরস্কারের ছবি ভুক্তভোগীকে দেখান। এতে করে ভুক্তভোগী বিশ্বা’স করতে থাকেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশনমন্ত্রী এলেক্স হাউকির সঙ্গে সুস’ম্পর্ক রয়েছে বলেও জানান রোজী।
এরপর ধাপে ধাপে কাগজপত্র ও ভিসার কথা বলে টাকা নিতে থাকেন। ওই আইনজীবীও রোজীর ফাঁদে পড়ে স্ত্রী’-সন্তানসহ পরিবারের আট সদস্যসহ অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন তিনি। এজন্য রোজীর দেওয়া দু’টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ টাকা দেন এ আইনজীবী। টাকা দেওয়ার পর কাগজপত্র ও ভিসা হাতে পেয়ে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে পান সবগুলোই ভু’য়া এবং জাল।
অ’তিরিক্ত ডিআইজি ই’মাম হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী আইনজীবী প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত ১ জুলাই রাজধানীর খিলগাঁও থা’নায় একটি মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলা’টি ত’দন্তের ধারাবাহিকতায় শনিবার বনশ্রী ও শাজাহানপুর এলাকায় অ’ভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রে’ফতার করে সিআইডি।