চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে শনিবার সকাল থেকে এক বন্দির হদিস মিলছে না। সকালে নিয়মিত বন্দি গণনাকালে ওই বন্দির অনুপস্থিতির বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এদিকে বিকালে নিখোঁজ বন্দির সন্ধানে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বাজানো হয় ‘পাগলা ঘণ্টা’। এছাড়া কারাগারে বাড়তি পুলিশ প্রবেশ করেছে। চলছে তল্লাশি।
সূত্র জানায়, নিখোঁজ কারাবন্দির নাম রুবেল। তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৫ নম্বর কর্ণফুলী ভবনের ‘পানিশমেন্ট’ ওয়ার্ডে থাকতেন। একটি হত্যা মামলার তিনি আসামি।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান ও জেলার মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারারক্ষী গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার সকালে নিয়মিত বন্দি গণনাকালে কর্ণফুলী ভবনের বন্দি রুবেলের অনুপস্থিতির বিষয়টি ধরা পরে। এরপর থেকে দিনভর খোঁজ করেও ওই বন্দির হদিস মিলছে না। বন্দি রুবেল কি কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে নাকি কারা অভ্যন্তরে লুকিয়ে রয়েছে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৯ মে চট্টগ্রাম কারাগারে এক কয়েদির ইটের আঘাতে মারা যান পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী অমিত মুহুরি। এর আগে ২০০০ সালে ভারতীয় নাগরিক জিবরান তায়েবী হত্যা মামলার আসামি ওসমানকে একই কারাগারে ছুরিকাঘাতে ‘খুন’ করেন অপর এক বন্দি। সম্প্রতি সেই জিবরান তায়েবী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শিল্পপতির পুত্র ইয়াছিন রহমান টিটুর বিরুদ্ধে কারাগারের ভেতরেই কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কেওয়াই স্টিলের ব্যবসায়িক নীতিনির্ধারণী সভা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সর্বশেষ কারা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় হাজতি নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, জেলার, জেলখানায় কর্তব্যরত সহকারী সার্জন ও সাতকানিয়ার মৌলভীর দোকান এলাকার রতন ভট্টাচার্য এবং বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।