চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা গ্রামে শাহিন (১৪) নামে এক কিশোরের আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে শাহিনের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, একটি ‘হাঁস চুরির অপবাদে মারধরের অপমান’ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে শাহিন আত্মহত্যা করেছে।
জানা গেছে, কিশোর শাহিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। সে গজরা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
নিহতের মা শান্তি বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে শাহিনকে আমাদের প্রতিবেশী মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবু একটি হাঁস চুরি অভিযোগে গত ২৩ মার্চ অনেক মারধর করে। পরে ওইদিন বিকেলে আমি তাদের বাড়ি গিয়ে বলি, আমার ছেলে চুরি করে থাকলে তাহলে একটির বদলে নয়টি কিনে দেবো। তারা আমার ছেলেকে মেরেছে। এমনকি আমাকেও অপমান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার পর আমার ছেলে রাতে ঘরে এসে না খেয়ে শুয়ে ছিল। পরে সকালে না উঠায় তাকে ডাকি। কক্ষের দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে কক্ষে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। আমার ধারণা চুরির অপমান সইতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল বলেন, ‘খবর পেয়ে কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সত্য ঘটনা জানা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারও প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছে- এমন কোনো অভিযোগ করেনি নিহতের অভিভাবকরা। যদি এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে মিয়াজ উদ্দিনের ছেলে বাবু বলেন, ‘আমি শাহিনকে একটুও মারিনি। শুধু জিজ্ঞাসা করেছি। গত ২১ মার্চে সে হাঁস চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে। কার কাছে হাঁস বিক্রি করেছে তাও বলেছে। পরে এলাকার গণ্যমান্যরা বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু আজ (বুধবার) শুনি, সে (শাহিন) আত্মহত্যা করেছে।’