টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর শুরু হতে চলেছে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে। ভারতের বদলে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, কিছু ম্যাচ আয়োজিত হবে ওমানে। তবে আয়োজনে থাকছে বিসিসিআই।
করোনার কারণে পুরো বিশ্ব পড়েছে টানাপোড়নে। ক্রিকেটেও এর স্পষ্ট প্রভাব লক্ষণীয়। এ বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে করোনার নাজুক পরিস্থিতির কারণে এই আসর আয়োজন করা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে।
সেখানে ১৭ অক্টোবর থেকে বিশ্বকাপ শুরুর পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইপিএল ফাইনাল শেষ হওয়ার পরপরই শুরু হবে বিশ্বকাপ। আইপিএলের অসমাপ্ত অংশসহ ফাইনাল শেষ হবে ১৫ অক্টোবর, যা শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর।
১৭ অক্টোবর শুরু হয়ে বিশ্বকাপের পর্দা নামবে ১৪ নভেম্বর। বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে আরব আমিরাতের সাথে থাকবে ওমান। সেখানে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে মূল পর্বের জন্য লড়বে ৮টি দল, ১২টি ম্যাচে। বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, স্কটল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান, পাপুয়া নিউগিনি- এই ৮টি দল থেকে চারটি দল যোগ দেবে সুপার টুয়েলভে, যেখানে আছে শীর্ষ ৮টি দল। অর্থাৎ, প্রথম রাউন্ডের প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি দল যোগ দেবে মূল রাউন্ডে। প্রথম রাউন্ডের কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ওমানে।
সুপার টুয়েলভে অনুষ্ঠিত হবে মোট ৩০টি ম্যাচ, যার সবগুলো আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে মূল পর্বের এই খেলা। আরব আমিরাতের তিন ভেন্যু দুবাই, আবুধাবি ও শারজায় ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
করোনার হানায় ভারত পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে। জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেও এর হানা থেকে বাঁচতে পারেনি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। বিসিসিআই তাই প্রবল চাপের মুখে আইপিএল বন্ধ করতে বাধ্য হয়। তখনই প্রশ্ন ওঠে, বিশাল জনগোষ্ঠী ও ঘনত্বের দেশটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব কি না। শেষপর্যন্ত ভারতে হচ্ছেই না বিশ্বকাপ।